ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৭/২০২৫ ২:৩৩ পিএম

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামীকাল শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি।

রোববার (২০ জুলাই) পদযাত্রা শুরু হবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল হাসান আরিফ। তিনি জানান, চলমান জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা মিলিয়ে দুই দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে এনসিপি।

এর মধ্যে শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এনসিপির চলমান কর্মসূচি শুরু হবে। ওইদিন কক্সবাজারে কর্মসূচি শেষ করে বিকেলে বান্দরবান যাবেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। বান্দরবানের কর্মসূচি শেষ করে শনিবার রাতেই চট্টগ্রামে আসবেন এনসিপি নেতারা।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির উদ্দেশে নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম ছাড়বেন। দুপুরের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কর্মসূচি শেষ করে রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যে এনসিপি নেতারা চট্টগ্রামে ফিরবেন।

সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেখান থেকে বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা হয়ে নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট যাবেন। নিউমার্কেট থেকে টাইগারপাস হয়ে নেতাকর্মীরা যাবেন দুই নম্বর গেট এলাকায় বিপ্লব উদ্যানে। সেখানে মূল জমায়েত হবে। তবে যানজট ও অন্যান্য কারণে সূচি পরিবর্তন হতে পারে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছি আমরা।

দেশব্যাপী পদযাত্রার প্রসঙ্গে দলটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ বলেন, সরকার এখনও জুলাই সনদ তৈরি করতে পারেনি। আমরা জনগণের দুয়ারে যাচ্ছি। তাদের চাওয়া-পাওয়া জানার চেষ্টা করছি। জুলাই সনদের বিষয়ে বক্তব্য শুনছি। এসব বক্তব্য আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরব।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার শঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে দলটির যুব উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক টিপু সুলতান বলেন, হ্যাঁ, আমরা শঙ্কা করছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের ঘটনার পর আমরা বুঝেছি, আওয়ামী লীগ এখন আর নীরব ভূমিকায় নেই। এটা রাজনৈতিক দলগুলোর সামগ্রিক ব্যর্থতা। যদি হামলার চেষ্টা হয়, চট্টগ্রামের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তা প্রতিহত করবে।

গোপালগঞ্জে হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাকে দায়ী করে টিপু সুলতান আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ দায় এড়াতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপারগুলা এত বেশি চোখা হয়ে উঠছে যে, আমরা আমাদের গণঅভ্যুত্থানের ফসল কাদের হাতে তুলে দিয়েছি, তা নিয়ে নিজেরাই এখন চিন্তিত। আমরা নিজেরাই এখন এ বিষয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের চোরাই ১১টি মহিষ ১১লাখ ৫০হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয়

মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে চোরাইপথে পাচারকালে কক্সবাজার উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ৬৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ...